И тази година започваме обзора на изминалите 12 месеца с

И тази година започваме обзора на миналите 12 месеца с взор към животинския свят, тъй като там постоянно стават куп забавни неща. Човекът малко самоуверено се е провъзгласил за венец на природата, само че в доста връзки той може да завиди на представителите на фауната.

Така да вземем за пример бързоногият бегач Юсейн Болт и водачът Луис Хамилтън могат единствено да мечтаят за достиженията на сребристите мравки от Сахар а. Те препускат толкоз бързо по пустинния пясък, че преведена в човешки мащаб, тяхната скорост би била 580 километра в час. Това е по този начин, тъй като бързината им е равна на 108 пъти от телесната им дължина, измината за 1 секунда. Официалното название на типа е Cataglyphis bombycinas. Според Харалд Волф и Сара Пфефер от университета в немския град Улм, скоростта на тези инсекти може доближи 85,5 сантиметра в секунда.
   
★ রুপালি পিঁপড়ে ★ সাহারা মরুভূমির রুপালি পিঁপড়ে (Cataglyphis bombycina), পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম পিঁপড়ে। ক্ষুদ্র, জ্বলজ্বলে মিসাইলের মত এরা মরুভূমির উত্তপ্ত বালিতে মৃত প্রাণীদের খোঁজে ছুটে বেড়ায়। প্রচন্ড তাপ যাদের কাছে নতি স্বীকার করেছে। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই রুপালি পিঁপড়ে শুধু সবচেয়ে দ্রুত গতির পিঁপড়েই না, সবচেয়ে দ্রুতগামী পোকাদের মধ্যেও একটি। এরা সেকেন্ডে ২.৮ ফিট পর্যন্ত যেতে পারে অর্থাৎ সেকেন্ডে তাদের শরীরের দৈর্ঘ্যের ১০৮ গুণ দূরত্ব অতিক্রম করে, যা মানুষের ক্ষেত্রে ঘন্টায় ৪০০ মাইল যাওয়ার সমতূল্য। রুপালি পিঁপড়ের এই দ্রুতগতি তাদের অভিযোজনের অংশ যা উত্তপ্ত এই মরুভূমিতে তাদের দ্রুত কাজ শেষ করতে সাহায্য করে যাতে ১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় পুড়ে ছাই হয়ে যেতে না হয়। তাদের স্পিন্ডল আকৃতির দেহ তাপ দূরে সরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এদের দেহে বিশেষ এক ধরণের তিনকোনা চুল রয়েছে যা তাপমাত্রা প্রতিফলিত করে এবং যার ফলে তাদের গায়ের ধাতব রঙ দেখা যায়। খাদ্যের অপ্রতুলতা এবং উত্তর আফ্রিকার মরুভূমির উত্তপ্ত আবহাওয়া রুপালি পিঁপড়েদের দ্রুতগতির জন্য প্রভাবকের কাজ করে বলে জানিয়েছেন জার্মানির উলম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী সারাহ পেফার। পেফার এবং তার সহযোগী গবেষকদের গবেষণার ফলে প্রাণীরা প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য কত দ্রুত দুরত্ব অতিক্রম করতে পারে সে বিষয়ে নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে। পেফার এবং তার দলের তোলা ভিডিওতে রুপালি পিঁপড়েদের পায়ের গতিবিধি খুব ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যায়, এরা তাদের ছোট পা খুব দ্রুত ফেলে, সেকেন্ডে প্রায় ৫০ কদম। মাটিতে তাদের পা প্রায় পড়েই না, একেক কদমে মাত্র ৭ মিলিসেকেন্ড সময় পা মাটি স্পর্শ করে থাকে। তাদের তিন জোড়া পায়ের চমৎকার সমন্বয়ে এটা সম্ভব হয়েছে। যখন তারা সবচেয়ে বেশি গতিতে চলে, একসাথে সবগুলো পা শূন্যে তুলে লাফিয়ে লাফিয়ে যায়। মরুভূমির উত্তপ্ত পরিবেশে বাসার বাইরে খুব কম সময়ে কাজ শেষ করার উদ্দেশ্যই তাদের এই দ্রুতগতির প্রধান কারণ বলে মনে করছেন গবেষকরা। তবে পরবর্তী গবেষণা চালিয়ে গেলে আরো নতুন নতুন সব তথ্য জানা যাবে চমৎকার এই রুপালি পিঁপড়ে সম্পর্কে। নিচে পেফার ও তার দলের তোলা ভিডিওটি মন দিয়ে লক্ষ্য করুন।